ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় জামিরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জামিরুল সদর উপজেলার কুবিরখালি গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে। উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কুবিরখালি মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামিরুল পার্শ্ববর্তী জিয়ানগর বাজার থেকে মটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
গ্রামবাসী জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে জামিরুল ইসলাম জিয়ানগর বাজার থেকে মিলন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই বাজারে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। পথে কুবিরখালি গ্রামের খালপাড়ে এলে দুর্বৃত্তরা রাস্তার ওপর কলাগাছ ফেলে তাঁর গতিরোধ করে। এরপর খুব কাছ থেকে মাথায় এবং বুকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পরই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় জামিরুল ইসলামের সঙ্গে থাকা মিলন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নিহত জামিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
আজ শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাটিতে একসময় চরমপন্থী দল সক্রিয় ছিল। তখন দিনের বেলাতেও মানুষ খুনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ পাঁচ বছর আগে বড়বাড়ি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম আততায়ীর গুলিতে খুন হন।
আজ বাজারগোপালপুর বাজারে বসে কথা হয় মামুনশিয়া গ্রামের কোরবান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, রাতে এখানে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকত। এখন সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এত রাত পর্যন্ত হয়তো চলাফেরা করা যাবে না।