খাগড়াছড়ির সদরের গাছবানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের কর্মী পিপলু বৈষ্ণব ওরফে রনি ত্রিপুরা নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পিপলু বৈষ্ণব জেলার রামগড়ের জগন্নাথপাড়ার বাসিন্দা নিগুম বৈষ্ণবের ছেলে।
পিপলু বৈষ্ণব খুনের ঘটনায় ইউপিডিএফ জেএসএস (এমএন লারমা) দলকে দায়ী করেছে। তবে জেএসএস (এমএন লারমা) এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয়া জানায়, পিপলু বৈষ্ণব গাছবান এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন। এ সময় ৭–৮ জন লোক খুব কাছ থেকে গুলি করলে পিপলু মারা যান।
এ ঘটনার জন্য জেএসএসকে (এমএন লারমা) দায়ী করে ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণিত ঘটনা।
তবে জেএসএসের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এ ঘটনার জন্য জেএসএস (এমএন লারমা) দায়ী নয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
সাহাদাত হোসেন আরও জানান, ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জামসহ পিপলু গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে ১৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড়ে জনসংহতি সমিতির যুব সমিতির এক নেতা নিহত হন।