সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নিরীহ পাটকলশ্রমিক জাহালম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগার থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। গত ছয়-সাত মাস আগে জানতে পারেন, একজন লোক আরেকজনের নামে জেল খাটছেন। মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সোমবার প্রথম আলোয় ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। শুনানি নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে জাহালমের গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি ও আইনসচিবের প্রতিনিধিকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় স্বশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
জাহালমের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, গলদ যখন চিহিৃত করা হয়েছে, তখন জাহালমকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান জানান, জাহালম যখন কারাগার থেকে বের হয়ে যাবেন, তখন আরেকটা অনুসন্ধান করে মামলা হাতে নেওয়া হবে। এ ঘটনা কীভাবে হলো, কার কারণে হলো, তা খুঁজে বের করা হবে।
হাইকোর্টের তলব প্রসঙ্গে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আদালত আমাদের ডেকেছেন আমরা যাব, আদালতে ব্যাখ্যা করব। আদালত যা বলেন তাই হবে।’