ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় আটক দুটি রোহিঙ্গা পরিবারের ১০ সদস্যকে ভারতে ফেরত নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের ভারতে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ৬০ বিজিবি অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইকবাল হোসেন।
এর আগে এ বছরের জানুয়ারি মাসে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগরের একই সীমান্ত দিয়ে ৩১ রোহিঙ্গা নাগরিককে একই কায়দায় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ৪ দিন ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ খোলা আকাশের নিচে থাকার পর তাদের বিএসএফ ভারতে নিয়ে গেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া খুলে দিয়ে ওই দুই পরিবারের ১০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে পাঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দিলে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ে রোহিঙ্গা পরিবার দুটি। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারী ও ছয় শিশু রয়েছে।
গতকাল দুপুরে ধজনগর সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬০ ব্যাটালিয়নের চণ্ডীদ্বার বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. সামসুল আলম এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১২০ বিএসএফের পরিদর্শক কিষাণ কুমার।
বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে এক রোহিঙ্গা নারী ভারতীয় হিন্দি ভাষায় জানান, ২০১২ সালে তাঁরা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতের জম্মু কাশ্মীরে অবস্থান নেন। পুনরায় সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ত্রিপুরায় আসেন। সেখানে তাঁদের রেশনকার্ড ছিল। অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেতেই তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য দালাল ধরে ত্রিপুরায় আসেন। বিএসএফ রাতে তাঁদের সব কাগজপত্র রেখে গেট খুলে বাংলাদেশে পাঠায়। পরে বিকেলে ভারতীয় বিএসএফ তাঁদের ভারতে নিয়ে যায়।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ১০ রোহিঙ্গাকে বিএসএফ সদস্যরা ভারতে নিয়ে গেছেন।