খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গতকাল শুক্রবার রাতে মধুমিতা চাকমা (৫৫) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, জমি সংক্রান্ত বিরোধ অথবা আঞ্চলিক কোনো সংগঠনের দ্বন্দ্বের কারণে তিনি খুন হয়েছেন।
নিহত মধুমিতা চাকমা উপজেলার জামতলী যৌথ খামার এলাকার ললিত কুমার চাকমার স্ত্রী। পুলিশ গতকাল রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও নিহতের আত্মীয়স্বজন জানান, দুর্বৃত্তরা তাঁকে রান্নাঘরে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
নিহতের স্বামী ললিত কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্ত্রী গ্রামে গরিব ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করি। বাড়িতে এসে মধুমিতা রান্না করতে যান। আমি গ্রামের একটি দোকানে টিভি দেখতে যাই। রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাড়ি গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পাইনি। বাড়ির পেছনে রান্নাঘরে গিয়ে দেখি, তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে। তখন চিৎকার করে পাড়া-প্রতিবেশীকে খবর দিই।’
আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মধুমিতা চাকমার বাড়ির রান্নাঘরে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। তাঁর ভাতিজা সুরিত চাকমা বলেন, ‘আমার পিসি আর পিসির স্বামী ছাড়া বাড়িতে কেউ থাকে না। দুই মেয়ের একজন চীনে, আরেকজন ঢাকায় আর ছেলে চট্টগ্রাম থাকেন। গতকাল রাতে হত্যার খবর পেয়ে এসে দেখি রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পিসির মৃতদেহ পড়ে আছে।’
নিহতের স্বামী ললিত কুমার চাকমা বলেন, ‘গ্রামের দুজন ব্যক্তির সঙ্গে আমার জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। হয়তো তাঁরা শত্রুতাবশত আমাকে মারতে এসে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।’
লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পীযূষ কান্তি দে বলেন, লাশের ঘাড়ে ও মাথায় চারটা ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁকে কুপিয়েই হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব।