ঢাকা-১৪ আসনে সরকারদলীয় সাংসদ আসলামুল হকের বাধা উপেক্ষা করে বুড়িগঙ্গার তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বছিলা সেতুর পশ্চিম পাশে বুড়িগঙ্গার তীরে নিজে এসে চলমান উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন আসলামুল হক। তবে তাঁর এই বাধা উপেক্ষা করেই বিআইডব্লিউটিএ তাদের অভিযান চালাচ্ছে।
কেরানীগঞ্জে বছিলা সেতুর পশ্চিম পাশে চর ওয়াশপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছেন আসলামুল হক। এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি তৈরি করতে গিয়ে তিনি নদীর কিছু অংশ দখল করেছেন বলে দাবি বিআইডব্লিউটিএর।
গতকাল মঙ্গলবার এখানে অভিযান চালিয়েছিল সংস্থাটি। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ একর জায়গায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, সাংসদের দখলে আছে ৫ একর জায়গা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৩টি স্থাপনা। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। তবে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আসলামুল হক কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এই সংসদ সদস্য বলেন, যৌথ জরিপের যে কথা বলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, তাঁকে সেই কাগজ না দেখালে কাজ বন্ধ থাকবে। তিনি কাজ করতে দেবেন না। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিদ্যুতের পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করার সময় বিআইডব্লিউটিএ তাঁকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল। আবার তারাই বিনা নোটিশে তাঁর এই জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযানে থাকা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আসলামকে যে জায়গা ব্যবহার করার জন্য তাঁরা অনাপত্তি দিয়েছেন, সেই জায়গাতে তাঁরা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন না। সংসদ সদস্য নদীর যে জায়গা ভরাট করেছেন, সেখানে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আসলামুল হক যখন ঘটনাস্থলে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন লোক আসে। তখন তাদের ধাওয়া দিয়ে এই এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে আসলামুল হকের ভরাট করা জায়গার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করছে। তিনি বুড়িগঙ্গার যে অংশটুকু ভরাট করেছেন, সেই অংশটুকু চিহ্নিত করে লাল ফিতা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।