রাজধানীর তুরাগে ফাহিমা আক্তার সাথী (১৯) নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর ফাহিমা আক্তারের স্বামী রাকিবকে আটক করেছে পুলিশ।
তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তুরাগের কামারপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ-সংলগ্ন মফিজ উদ্দিনের বাড়ির একটি রুম থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাহিমা আক্তারের বাঁ হাতে কবজির ওপরে দুই ইঞ্চি পরিমাণ তিনটি কাটা দাগ রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী লোকজন দেখতে পান, ফাহিমা আক্তারের হাত কেটে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে হয়ে পড়লে প্রতিবেশী লোকজন তাঁর মাথায় পানি দেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী বাসায় চলে এলে প্রতিবেশীরা চলে যান।
প্রতিবেশী ড্রাইভার মামিন ওই বাসায় তাঁর চাবি ফেলে এসেছিলেন। রাত ১১টার দিকে তিনি ওই বাসায় চাবি আনতে যান। অনেক ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে সাড়াশব্দ আসছিল না। একপর্যায়ে তিনি ঘরের টিনের দরজা ভেঙে দেখেন ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাহিমা আক্তারের লাশ ঝুলছে। পাশে খাটের ওপর শুয়ে ছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো জবাব দেননি। এ অবস্থায় থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টায় গিয়ে ফাহিমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ফাহিমা আক্তার উত্তরার ওয়াইড ভিশন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আট থেকে নয় মাস আগে ওই বাসা রাকিব ও ফাহিমা আক্তার ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার চারাভাঙা গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পরপরই রাকিবকে আটক করা হয়েছে। রাকিবের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলায়। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।