তিতাসে গ্যাস-সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগ দেওয়া, মিটার টেম্পারিং করা, কম গ্যাস সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো এবং বাণিজ্যিক গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেওয়া হয়। এ ধরনের ২২টি বিষয়কে প্রতিষ্ঠানটিতে দুর্নীতির উৎস বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব দুর্নীতি রোধে ১২ দফা সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।
দুদকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, তিতাস গ্যাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় গ্যাসের অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে। অবৈধভাবে বিভিন্ন কারখানায় গ্যাসের লোড নেওয়া হয় এবং বাড়ানো হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, তিতাসে ৬ শতাংশ সিস্টেম লস হয় অবৈধ সংযোগের কারণে। ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে বিশেষ করে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ অবৈধ গ্যাসলাইন সংযোগের তথ্য পাওয়া যায়। গৃহস্থালির চেয়ে শিল্পেই বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তিতাসে কর্মরত নয়, এ রকম কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে ঘুষের বিনিময়ে স্বাভাবিক সংযোগের পাশাপাশি চোরাই লাইনে সংযোগ দেন।
তিতাসে কেউ নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করলে বা অবৈধ সংযোগ বৈধ করার জন্য আবেদন করলে সেটি সহজে অনুমোদন পায় না। এর কারণ হিসেবে দুদক বলছে, বৈধ সংযোগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় না। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের অডিট রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে দুদক বলছে, একটি অবৈধ সংযোগ নিতে তিতাসের কর্মচারীকে অবৈধভাবে ৪৫,০০০ টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে হতো। এখন সেটি আরও বেশি। তাই তাঁরা অবৈধ সংযোগকে বৈধ করতে আগ্রহী নন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। আদালত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেও রাতের অন্ধকারে সেটি অর্থের বিনিময়ে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করার পর গ্রাহকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হলেও অবৈধ সংযোগ বন্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক সময় অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয় বা ওই হস্তক্ষেপের কারণে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যায় না। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকার তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার (ম্যানেজার) সমন্বয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কমিটি আছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি আছে। অবৈধ সংযোগের তথ্যের আলোকে গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রেও অদৃশ্য প্রভাব কাজ করে।
তিতাসে গ্যাস-সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার জন্য জ্বালানি উপদেষ্টাকে সভাপতি এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে সদস্যসচিব করে একটি কমিটি আছে। এই কমিটির সিদ্ধান্তেই গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার স্বার্থে শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে কমিটির পাশাপাশি একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে দুদক। তিতাসের একই কর্মকর্তা একাধিক দায়িত্ব পালন করায় কোনো দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন না করে দুর্নীতির আশ্রয় নেন।
শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের কম মূল্যে গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার নিয়ম থাকায় অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহক যেমন: হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারি, সুপারশপ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেওয়া হয়।
অবৈধ সংযোগের পাশাপাশি মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমেও তিতাসে দুর্নীতি হয়। কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে মিটার টেম্পারিং করে গ্রাহকের প্রকৃত বিল গোপন করে থাকেন।
ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটরে সংযোগ দেওয়া হয়।
যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা আবাসিক গ্রাহক বৈধভাবে সংযোগ নিতে চান বা মিটারের নাম পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের কাছ থেকেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। টাকা না দিলে তাঁদের নানা হয়রানি করা হয়।
ঢাকা ও এর আশপাশের অনেক কোম্পানির মিটার বাইপাস করে অবৈধ সংযোগ আছে বলে দুদক জেনেছে। তিতাসের কর্মীরা ঘুষের বিনিময়ে বাইপাসের মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ দেন। ইচ্ছাকৃতভাবে তিতাসের কর্মচারীরা গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দিয়ে ওই সময়ে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বাইপাস করে থাকেন।
>*তিতাসে ৬ শতাংশ সিস্টেম লস হয় অবৈধ সংযোগের কারণে *২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রতিটি অবৈধ সংযোগে ঘুষ দিতে হতো ৪৫ হাজার টাকা, এখন * অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেওয়া হয়
তিতাসসহ অন্যান্য কোম্পানি অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রাহক পর্যায়ে অনুমোদনের কম/বেশি গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু সরবরাহের পরিমাপ করার জন্য ইভিসি (ইলেকট্রনিক ভলিউম কারেক্টর) করে না। ওই মিটারের মাধ্যমে প্রবাহিত গ্যাসের তাপ ও চাপসংক্রান্ত তথ্যাদি সার্বক্ষণিকভাবে রেকর্ড হয়। এতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সঠিক হিসাব আসে। কিন্তু তিতাসের কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি বসান না অথবা ইচ্ছা করেই গরমিল করেন।
তিতাসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অর্থের বিনিময়ে শিল্প এলাকায় পোস্টিং নিয়ে আছেন, যার কারণে এঁরা খুব সহজেই সিন্ডিকেট গড়ে দুর্নীতি করেন।
অনুমিত পরিমাণের চেয়ে গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানোর অভিযোগ আছে তিতাসে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দুদক দেখেছে, ওই বছর আবাসিক খাতে অনুমিত প্রবাহ ছিল ১০ হাজার ৩১৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৮ ঘনফুট। কিন্তু ব্যবহার হয়েছে ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৯ ঘনফুট। অনুমতি সরবরাহ থেকে ১ হাজার ৪৭৭ কোটি ৯৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৯ ঘনফুট গ্যাস কম ব্যবহার হয়েছে, যার মূল্য ২৯২ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টাকা। তারপরও সিস্টেম লস দেখানো হয়েছে। অনুসন্ধানে দুদক জেনেছে, বিভিন্ন শিল্পকারখানায় অবৈধ সংযোগ বা বাইপাস করে তা গৃহস্থালিতে সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো হয়।
অবৈধ চুলার জন্য বৈধ চুলার সমান টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করার তথ্যও পেয়েছে দুদক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিনজিরা, ফতুল্লা, সোনারগাঁ, নরসিংদী ও গাজীপুর—এই পাঁচ এলাকায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৫৫টি অবৈধ চুলা বা সংযোগ চিহ্নিত করা হয়। প্রতি মাসে প্রতি চুলা বাবদ ৬৫০ টাকা হারে ওই গ্যাসের দাম হয় ৯২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। কিন্তু উক্ত অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করে বিচ্ছিন্ন না করায় ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে দুদক মনে করছে।
গ্যাস বিক্রি বেশি দেখিয়ে আত্মসাৎ করার তথ্যও পেয়েছে দুদকের দলটি। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মচারী সিন্ডিকেট করে বিল ভাউচারে ভুয়া সংকেত দিয়ে অবৈধ গ্রাহকের কাছ থেকে বিল আদায় করে। ভুয়া সংকেত হওয়ায় সেগুলো তিতাসের ব্যাংক হিসাবে পোস্টিং এবং লেজারে এন্ট্রি দেওয়া হয় না।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আঞ্চলিক ব্যাংক হিসাব থেকে তিতাসের মূল অ্যাকাউন্টে যথাসময়ে টাকা স্থানান্তর করা হয় না। অথচ নিয়মানুযায়ী তিতাসের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগ থেকে এক মাসের জমাকৃত অর্থ স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে কোম্পানির মূল অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হয়। স্থানীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা থাকলে সাড় ৩ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। মূল অ্যাকাউন্টে থাকলে সুদ পাওয়া যায় ৮ শতাংশ। ব্যাংকের শাখাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে টাকা পাঠায়। এভাবে কোম্পানির কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়। এ বিষয়ে কোম্পানির তদারকির অভাব রয়েছে বলে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা আদায় করা হচ্ছে না। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সরকারি অডিট পর্যালোচনা করে দুদক বলছে, বড় শিল্পকারখানা যেমন এশিয়ান টেক্সটাইল মিলস, পিংক ফুড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, লিথুন ফেব্রিকস, কুশিয়ারা কম্পোজিট, বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্রাহক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের কাছে তিতাসের শত কোটি টাকারও বেশি বকেয়া পাওনা আছে। কারখানার মালিক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে অথবা অদৃশ্য প্রভাব খাটিয়ে গ্যাস-সংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। গ্যাস নীতিমালা অনুযায়ী কোম্পানি যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে তাঁরা মামলা করার সুযোগ পেতেন না।
এসব সমস্যা ছাড়াও দরপত্রে অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্তৃক সার্বক্ষণিকভাবে কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার, জরিমানা, সংশোধিত বিল ও জামানত আদায়ে গ্যাস বিপণন নীতিমালা অনুসরণ না করা তিতাসের দুর্নীতির কারণ।
এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২ দফা সুপারিশও দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে: মিটার টেম্পারিং রোধ এবং গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে ডিস্ট্রিবিউশন এবং গ্রাহক উভয় ক্ষেত্রে প্রি-পেইড মিটার চালু করা। অবৈধ সংযোগ রয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে দুদক। পরিদর্শনে অবৈধ সংযোগ পাওয়া গেলে ওই এলাকার তিতাসের পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতিটি অবৈধ গ্রাহকের কাছ থেকে উচ্চ হারে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরে নিয়মিত ফলোআপের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পুনরায় অবৈধ সংযোগ নিতে না পারে।
তিতাসের যেসব কর্মচারীর দীর্ঘদিন শিল্প এলাকায় পোস্টিং আছে তাঁদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে শিল্প এলাকায় এবং একই বিভাগে ১ থেকে ২ বছরের বেশি পোস্টিং না রাখার নীতি গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দুদক মনে করছে, তিতাসের জনবলের বর্তমান দক্ষতা দিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিবছর বিদ্যমান জনবলের দক্ষতা যাচাই করা উচিত। বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ট্রুথ কমিশনে যাওয়া তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভ্যাসগতভাবে অপরাধী বলে দুদকের কাছে মনে হয়েছে। তাই তিতাসের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ট্রুথ কমিশনে গিয়েছিলেন তাঁদের পদোন্নতি ও কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সরকারি অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে প্রচুর অডিট আপত্তি দেখেছে দুদক। এসব আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি করার সুপারিশ করা হয়েছে। যেসব আপত্তিতে ফৌজদারি উপাদান আছে, সেগুলো নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দুদক বলছে, তিতাসের সিস্টেম লসের সর্বোচ্চ কোনো হার নির্ধারণ করা নেই। তবে সরকারি নিরীক্ষা ২ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণ করে। অন্যদিকে তিতাসের বর্তমান সিস্টেম লস ৬ শতাংশ, যা খুব বেশি। এ জন্য সিস্টেম লসের একটি সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করে দুদক।