রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ), বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে আধা কেজি আইস ও ৬৩ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাজিমউদ্দিন, আব্বাসউদ্দিন, নাছিরউদ্দিন, মো. হোসেন, সঞ্জিত দাস, শিউলি আক্তার, কোহিনূর বেগম, রাশিদা বেগম ও মৌসুমী আক্তার।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত নয়জনকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছ থেকে আইস ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা আইস কক্সবাজার থেকে ট্রাকে করে চট্টগ্রাম হয়ে কুমিল্লায় আসে। সেখান থেকে প্রাইভেট কারে বহনকারীরা তা ঢাকায় নিয়ে আসে। আইস শক্তিশালী মাদক। এটি সেবন করলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। বিত্তবান ও তাদের সন্তানেরা দামি মাদক আইস সেবন করে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ক্রেতা ও বহনকারী রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইয়াবা ও আইস অবিচ্ছেদ অংশ। যারা ইয়াবার কারবার করে, তারাই আইসের কারবারে জড়িত। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল হোতাসহ করে পুরো চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।
অভিযান পরিচালনকারী ডিবির উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা হয়েছে। এর আগেও তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। এখন কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মাদক চক্র শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার পর সরবরাহকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এক গ্রাম আইস দিয়ে কয়েক শ ইয়াবা বড়ি তৈরি করা সম্ভব।