রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গতকাল বুধবার রাতে চাপাতির কোপে কিশোর মহসিন (১৪) খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতেই কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মহসিনের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার বাকি ১১ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওসি গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, মহসিন খুন জড়িতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল রাত নয়টার পর মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিং এলাকার ২ নম্বর সড়কে মহসিন, রুবেলসহ কয়েকজন কিশোর মুঠোফোনে ছবি দেখছিল। একপর্যায়ে তাদের সমবয়সী একদল কিশোর ঘটনাস্থলে এসে চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মহসিন, রুবেলসহ তিনজন আহত হয়। তাদের মধ্যে মহসিন ও রুবেলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মহসিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রুবেল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত মহসিন মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের চাইল্ড হেভেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা চান মিয়া হাউজিং ও ঢাকা উদ্যান এলাকার কিশোর-তরুণ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে মহসিন ও তার বন্ধু রুবেল তাদের এক মেয়েবন্ধুকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কাটাসুরের কয়েকজন কিশোর-তরুণ এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। মূলত, এই ঘটনার জের ধরে মহসিনের ওপর হামলা হয়।