আগে জুয়েলারি ব্যবসা করতেন, এখন জুয়েলারি ব্যবসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিক্রি করেন প্রদীপ পোদ্দার (৪১)। র্যাব বলছে, স্বর্ণালংকার বেচতে আসা একদল ডাকাতের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল প্রদীপ পোদ্দারের। এরপর তিনি নিজেই ডাকাত পালন শুরু করেন। অর্থাৎ যখন ডাকাতি বন্ধ থাকে, তখন প্রদীপ টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চালান। কেউ ধরা পড়লে তিনি জামিনের ব্যবস্থা করেন। বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে ডাকাতির মালামাল কিনে নেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে প্রদীপসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানায় র্যাব-১। গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজন হলেন মো. রাসেল, জাকির হোসেন, দুলাল হোসেন (৩০) ও তাঁর স্ত্রী কোকিলা বেগম এবং কোকিলার মা হাজেরা বেগম।
র্যাব-১-এর পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সম্প্রতি উত্তরা ও গাজীপুরে কয়েকটি ডাকাতি ঘটনার সূত্র ধরে র্যাব চক্রটিকে চিহ্নিত করে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, তাঁদের মধ্যে প্রদীপ পোদ্দার টঙ্গীর আফতাব প্লাজায় জুয়েলারি সরঞ্জামাদি যেমন গয়নার বাক্স, গ্যাস টিউব ও জুয়েলারি ব্যবসায় কাজে লাগে এ রকম সরঞ্জামাদির ব্যবসা করেন। আগে তাঁর জুয়েলারি ব্যবসা ছিল। সেখানে মালামাল বেচতে এসে ডাকাত দলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তিনি একাধিক চক্রের কাছে নামমাত্র মূল্যে ডাকাতির মালামাল কিনতেন। বিনিময়ে ডাকাতদের সংসার চালানো থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়িত্ব নিতেন। প্রদীপের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে জুয়েলারি সরঞ্জাম কিনে দোকানে বিক্রি করতেন রাসেল। তিনিও এই চক্রে যুক্ত হন।
র্যাব জানায়, দুলাল হোসেন কাপড়ের ফেরিওয়ালা। বাসা-বাড়িতে কাপড় বিক্রির পাশাপাশি তিনি রেকি করার কাজটা করেন। পরে সুযোগ বুঝে ডাকাতি করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে টঙ্গীতে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ভিডিও ফুটেজে কয়েকজনের মধ্যে দুলালকেও শনাক্ত করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহুবার গ্রেপ্তার হন দুলাল। দুলালের স্ত্রী কোকিলা ও শাশুড়ি হাজেরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সব জেনে-বুঝেও ডাকাতির মালামাল সংরক্ষণের অভিযোগে। আর দুলালের সঙ্গে কারাগারে পরিচয় হয়েছিল কাঠমিস্ত্রি জাকির হোসেনের।