ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামি গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, দুই দল ডাকাতের মধ্যে মালামাল ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে ওই আসামি নিহত হন। পুলিশ উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পশ্চিম শিলুয়া গ্রামের গজারিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে থেকে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে আসামিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আসামির নাম মো. কামরুল ওরফে গুনাই কামরুল (৩২)। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুরের মো. হানিফের ছেলে। কামরুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, চারটি গুলি, দুটি রামদা ও একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করেছে। নিহত কামরুলের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা ছাড়াও নানা অভিযোগ রয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার পুলিশের ভাষ্য, গতকাল রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে গজারিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা গোলাগুলি বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবককে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় লোকজন রাতেই ওই যুবকের নাম মো. কামরুল ওরফে গুনাই কামরুল বলে শনাক্ত করেন।
ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, এলাকায় ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি ও আধিপত্যের জেরে দুই পক্ষের ডাকাতের গোলাগুলির মধ্যে কামরুল মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।