ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটিবাজারের ডাকঘরের পেছনে পরিত্যক্ত লোহার সিঁড়ি থেকে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সোনিয়া আক্তার (১৩) বিল্লাল মিয়ার মেয়ে এবং সুরাইয়া (১৪) বাবুল মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিল্লাল মিয়া ও বাবুল মিয়া কসবার কুটিবাজারসংলগ্ন একটি বয়লার মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁরা স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে মিলের পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেই সূত্রে সোনিয়া ও সুরাইয়া বান্ধবী। আজ দুপুরে খাওয়ার পর থেকে দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে কুটিবাজারের ডাকঘরের পেছনের পরিত্যক্ত লোহার সিঁড়ির নিচের দিকে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
সোনিয়ার বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, সোনিয়া ও সুরাইয়া একসঙ্গে চলাফেরা করত। দুপুরের খাবারও বাসায় খেয়েছে। খাবারের পর থেকেই তাদের পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, ‘বাসার কারও সঙ্গে রাগ-অভিমানও করেনি। ঝগড়া–বিবাদও হয়নি। জানামতে, আমাদের কোনো শত্রু নেই। বুঝে উঠতে পারছি না, তাদের কেউ খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে, নাকি নিজেরাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশাদুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে। লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাপসাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।