কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইমরান হোসেন ওরফে পুতুইয়া মিস্ত্রি নামের একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহত ইমরান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত ইমরানের বাড়ি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকায়। বাবার নাম আজিজুল হক।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল গভীর রাতে দরগাছড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সাত হাজার ইয়াবা বড়ি, দেশে তৈরি দুটি ও একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনাকারী উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া আরও বলেন, গতকাল সকালে কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়কের পাশে কাটাপাহাড় এলাকা থেকে পুলিশ টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী শামসুল আলমের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মৌলভি আলী হোসেনের ছেলে।
পুলিশের দাবি, প্রতিপক্ষ কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে শামসুল আলম খুন হয়েছেন। তাঁর লাশের পাশ থেকে পুলিশ এক হাজার ইয়াবা বড়ি, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয়টি গুলি উদ্ধার করেছে।