ঝালকাঠির রাজাপুরে র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনকে (৫৫) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ। গত শনিবার দুপুরে সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম রাজাপুর থানায় দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ছয়জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হেনোয়ারা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ রয়েছে। শনিবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রবেশ করে মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন বাঁশ কাটার চেষ্টা করেন। এতে তাঁর স্বামী তোফাজ্জেল হোসেন বাধা দিলে আসামিরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। বাদী তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আসামিরা তাঁকেও মারধর করেন। এ সময় আসামিরা বাদীর গলার একটি সোনার গয়না ও তোফাজ্জেলের পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা আহত তোফাজ্জেলকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
লিমন বলেন, ‘আমি এ হামলার বিচার চাই।’
তবে মো. ইব্রাহীম হাওলাদার বলেন, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিমন প্রভাব খাটিয়ে এ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উদয় কুমার মিত্র বলেন, তোফাজ্জেলের কাঁধের হাড়ে কিছুটা ফাটল ধরেছে। শরীরে ফুলা জখম আছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাতুরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে গুলিবিদ্ধ হন লিমন। বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাঁকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। জীবন বাঁচাতে সেখানে তাঁর বাম পা ঊরুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার পর র্যাব লিমনসহ আটজনের নামে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করে।