অর্থপাচার মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
শুনানির আগে জি কে শামীমসহ আটজনকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় প্রত্যেক আসামি নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন। মামলার অভিযুক্ত অপর সাত আসামি হলেন জিকে শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন (৩৯), মুরাদ হোসেন (৫২), জাহিদুল ইসলাম (৪১), শহিদুল ইসলাম (৩৬), কামাল হোসেন (৪৯), সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম (৩৪)।
গত ৮ আগস্ট এই মামলায় জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে জিকে শামীমের। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। এসবের দাম ৪১ কোটি টাকা। জি কে শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন।
মামলার তদন্তভার পাওয়া সিআইডির কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, জি কে শামীমের স্থায়ী আমানত ৩৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৪০৬ টাকার ওপর আদালতের স্থিতাদেশ রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার ও ৭৫২ সিঙ্গাপুরি মুদ্রা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ তাঁর ৫১ দশমিক ৮৩ কাঠা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এগুলোর দলিলমূল্য ৪০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা।