মোহাম্মদপুরে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতী হত্যার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ দুপুরে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে তিনি এই জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবদুল আলীম।
আবদুল আলীম জানান, মামলার অপর আসামি রোকসানা পারভিনের স্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক আছেন।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জান্নাতীকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সে আগেই মারা গেছে। জান্নাতী স্যার সৈয়দ রোডের একটি ছয়তলা ভবনের এক তলায় কাজ করত। ওই ফ্ল্যাটটি পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদের। বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী রোকসানা পারভিন, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ও বোন । ঘটনার সময় সাঈদ আহমেদ বাসায় ছিলেন। গত রোববার থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে তেজগাঁও বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রোকসানা বলেন মারধরের পর জান্নাতী অজ্ঞান হয়ে রান্নাঘরে পড়ে যায়। ওই অবস্থাতেই দুই ঘণ্টার মতো ঘরে পড়েছিল। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানায় আগেই সে মারা গেছে।
রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিতে তাঁর স্বামীর সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তথ্য দেননি। আরও অনেক কিছুই চেপে গেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, জান্নাতীর শরীরের নতুন-পুরোনো অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁরা ধারণা করছেন মৃত্যুর আগে জান্নাতী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ছোট্ট শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু নিয়ে রহস্য শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু: গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা