ছোট্ট বাসায় ৫ সিন্দুকভর্তি টাকা

র‌্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো–কাণ্ডে জড়িত দুই ভাই এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়ার একটি ছোট্ট বাসা থেকে পাঁচটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সিন্দুকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। সিন্দুকে এসব টাকা থরে থরে সাজানো ছিল। এ ছাড়া পুরান ঢাকার ছয়তলা ভবনের নিচতলার ছোট্ট ওই বাসা থেকে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরের বই ও ক্যাসিনোর সরঞ্জামও জব্দ করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ওই বাসার ঠিকানা ১১৯/১ লালমোহন সাহা স্ট্রিট। র‌্যাব বলছে, ওই স্ট্রিটে এনামুল ও রূপন ভূঁইয়ার ছয়টি বাসার সন্ধান পাওয়া গেছে। গত রাতে অভিযান চালানো ওই বাসার তিনতলায় এনামুল ও রূপনের এক ভাইয়ের স্ত্রী থাকেন বলে জানান তাঁর প্রতিবেশীরা। সরু গলির ওই বাসার সামনে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় র‌্যাব ওই বাসায় অভিযান শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, সরু গলির ওই বাসায় পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা ও পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরের বইয়ের পাশাপাশি ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। বাসাটি খুব ছোট আকারে। এখানে মাত্র একটি চৌকি আছে। এটি ছয়তলা ভবনের নিচতলার একটি বাসা। ধারণা করা হচ্ছে, এ বাসায় টাকা রেখে কেউ এর পাহারায় থাকতেন। তবে এখান থেকে কাউকে আটক করা যায়নি।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধার করা টাকা গণনার কাজ চলছে।

এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়া এখন কারাগারে। ক্যাসিনো কারবারি এই দুই ভাইকে গত জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তাঁরা পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল, রূপন এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।

এনামুল ও রূপন গত ছয় থেকে সাত বছরে পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। নেশা হলো বাড়ি কেনা।