চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় আরিফ হোসেন খান (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে মা খুকি বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের খান বাড়িতে চার থেকে পাঁচজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত আরিফকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মাকে আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী।
নিহত আরিফের স্ত্রী আছমা আক্তার (২০) বলেন, নয় মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। মা ও ছেলের মধ্যে বনিবনা হতো না বলে বিয়ের পর থেকে আরিফ শ্বশুর বাড়িতে থাকত। এর আগেও ছেলে নেশা করে এই অভিযোগে মা ছেলেকে জেল খাটিয়েছেন। কিছুদিন আগে তাঁরা আরিফের বাড়িতে এসে উঠে। দুদিন আগে আছমার শাশুড়ি খুকি বেগম তাঁকে বেড়ানোর জন্য জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আজ ভোরে শাশুড়ি ফোন করে জানান, ৪-৫ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত আরিফকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে গেছে। ভোরে বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আরিফ মারা যান। তিনি বলেন, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তিনি জানেন। পুলিশকে তাঁদের নাম জানিয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বেলায়েত হোসেন বলেন, আরিফের মুখে, গলায় ও মাথায় ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উল্লা বলেন, আরিফকে হত্যায় তাঁর মা জড়িত থাকার অভিযোগ করে আরিফের স্ত্রী। এই অভিযোগে পুলিশ সন্ধ্যায় মা খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করে। পরে আছমা বাদী হয়ে রাত আটটায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে খুকি বেগমসহ আরও অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।