ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করে তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনী তাঁকে নজরদারিতে রেখেছে। ওই বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, তাদের প্রাথমিক ধারণা—যাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, সে-ই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। এই বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই শেষে ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হতে পারলেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে। সূত্রটি বলছে, তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে এখনই ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।
গত রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় সড়কের পাশে ফুটপাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহার আজ মঙ্গলবার ঢাকার আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যে স্থানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সেই স্থানের আশপাশের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে গত রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রওনা দেন ওই শিক্ষার্থী। রাত সাতটার দিকে বাসটি কুর্মিটোলায় থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে শেওড়ার দিকে হাঁটা শুরু করেন। গলফ ক্লাব মাঠসংলগ্ন স্থানে গেলে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা আসামি (বয়স ২৫ থেকে ৩০) তাঁর গলা চেপে ধরেন। এতে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি মারধরও করা হয় তাঁকে।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণকারীর উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। গায়ের রং শ্যামলা। মাথার চুল ছোট। পরনে ছিল জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট। গায়ে ছিল কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট। ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, দুই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।