নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আবুল কালাম নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাগাতিপাড়ার গফুরাবাদ স্কুল চত্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাগাতিপাড়া থানা ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস ছিল। সে সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বাগানে ক্লাস নেওয়ার কথা বলে ইংরেজি শিক্ষক আবুল কালাম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কক্ষের বাইরে পাঠিয়ে দেন। এক ছাত্রীকে পরে বাইরে যাওয়ার কথা বলে কক্ষেই রেখে দেন তিনি। সে সময় মেয়েটির আরও দুই বান্ধবী তার সঙ্গে থেকে যায়।
কিছুক্ষণ পরে ওই শিক্ষক অন্যদের সামনেই ছাত্রীটির হাত ধরেন। এতে ভয় পেয়ে অন্য দুই ছাত্রী সেখান থেকে দৌড়ে বাইরে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রীরা জানায়, আবুল কালাম তাদের সামনেই মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করেন। একপর্যায়ে শিক্ষকের হাত থেকে পালিয়ে ওই ছাত্রী কক্ষের বাইরে চলে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে অন্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ি গিয়ে ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় এ–সংক্রান্ত অভিযোগ করলে সন্ধ্যায় গফুরাবাদ বাজারসংলগ্ন স্কুলমাঠ থেকে শিক্ষক আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিক্ষক আবুল কালাম একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েমের সহোদর বলে জানা গেছে।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের মুহূর্তে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আটক শিক্ষক আবুল কালামের বাড়ি উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, নিজের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।