চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আট বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাদ্রাসাটির এক শিক্ষককে এলাকাবাসী পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষককে (২৭) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর ছাত্রীটিকে ভর্তি করা হয়েছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আট বছরের মেয়েটি উপজেলার একটি গ্রামের ওই মাদ্রাসায় নুরানি শাখার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে মাদ্রাসায় যায়। পড়া শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের তিনি ছুটি দেন। কিন্তু ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার ভেতরে তাঁর থাকার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের এ ঘটনা জানায়। ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী মাদ্রাসার কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ওই শিক্ষককে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বেলা ১১টার দিকে ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়েছি। পরে মেয়েটি একটি ছেলের সঙ্গে বাড়ি চলে যায়। এরপর কী ঘটেছে আমি জানি না।’