চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে মো. আবদুল্লাহ (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ আজ বুধবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৯ ও ৯০ নম্বর প্রধান খুঁটির মধ্যবর্তী এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. আবদুল্লাহ ঠাকুরপুর গ্রামের গল্লাপাড়ার গোলাম রসুলের ছেলে এবং পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্বজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, ভারত থেকে গরু আনার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আবদুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত করে পুরো বিষয়টি জানানো হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহ গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। পৈতৃক জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে গরু নিয়ে এনে এলাকায় ব্যবসা করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী রওশন আরা এবং প্রিয়া খাতুন (১৭) ও আশিকুল (১২) নামের দুই সন্তান আছে তাঁর।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল রাতে সীমান্ত পথে গরু আনতে ভারতের উদ্দেশে আবদুল্লাহ বাড়ি থেকে রওনা দেন। সকালে গ্রামের মাঠে কয়েকজন কৃষক কাজ করতে গিয়ে সীমান্ত এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। স্বজনেরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই মো. আবদুল গণি ও প্রতিবেশী আসাদুল হকের দাবি, তাঁদের বিশ্বাস, বিএসএফ সদস্যরাই আবদুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত ব্যক্তি একজন চিহ্নিত গরু ব্যবসায়ী। গরু পাচারের ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। এলাকায় গুঞ্জন আছে, বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি-৬-এর পরিচালক লে. কর্নেল সাজ্জাদ সরোয়ার পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা খুন করেছে, সে বিষয় নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করা যাবে না।