চীনা নাগরিক ব্যবসায়ী গাউজিয়াং হুই হত্যাকাণ্ডের কোনো সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। গাউজিয়াংয়ের গাড়িচালক, তাঁর ব্যবসায়ী অংশীদারসহ আটক পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার দুপুরে পুলিশ বনানী এ–ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর বাড়ির পেছনের খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেওয়া গাউজিয়াংয়ের লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই বাড়ির ছয়তলায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর গাউজিংয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বুধবার রাতে একজন চীনা নাগরিক ঝাং শা হং বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। এজাহারে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। বনানী থানার পুলিশ জানায়, চীনের ফুজিয়ান থেকে গাউজিয়াংয়ের স্ত্রী লিউ হুই গতকাল ঢাকায় এসেছেন। ঢাকায় এসে তিনি স্বামীর লাশ দেখলেন। বনানী থানায় গাউজিয়াংয়ের লাশের তোলা ছবি দেখে লিউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মামলার তদন্তে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলেন, গাউজিয়াংয়ের বনানীর ভাড়া বাসায় দোভাষীর মাধ্যমে লিউ তাঁর স্বামী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো কারণ কিংবা সন্দেহের কথা জানাতে পারেননি। গাউজিয়াং শান্ত স্বভাবের ছিলেন এবং কাজ না থাকলে বাসা থেকে বের হতেন না। তবে তিনি বলেন, গাউজিয়াং যে ফ্ল্যাটে থাকতেন তার মালিক ওই ফ্ল্যাটটি সম্প্রতি আরেকজনের কাছে ভাড়া দিতে চাইলে গাউজিয়াং রেগে যান এবং প্রতিবাদ করেন। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটির মাসিক ভাড়া ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ গাউজিয়াং ব্যবসায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। গতকাল গাউজিয়াংয়ের লাশ দেখতে তাঁর এক ভাই চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, গাউজিয়াংকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পাটের বস্তায় করে নিচে নামিয়ে বাড়ির পেছনের খালি জায়গায় (উত্তর দিকে) মাটিচাপা দেওয়া হয়। সদ্যনির্মিত ১১ তলা বাড়িটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলেও সংযোগ না দেওয়ায় হত্যাকারীরা সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। হত্যার ঘটনা নিরাপত্তাকর্মীরা দেখেননি বলে দাবি করেন।