ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ও একই ইউনিয়নের ছয়জন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে আজ বুধবার পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর প্রায় এই ধরনের ঘটনায় এ নিয়ে ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাঁদের মধ্যে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪২ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং দুজন পৌর কাউন্সিলর।
আজ সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সদস্যরা হলেন, গোপালপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ওবায়দুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাকিয়ার রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইব্রাহিম শেখ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. অলিয়ার রহমান এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা. স্বপ্না বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফরিদপুর জেলার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদানের নামে অর্থ আদায়, এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ইউপি ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। আর অপর ছয় সদস্যের নামেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া এই জনপ্রতিনিধিদের কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জবাব দিতে বলা হয়েছে।