নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজ বাহিনীর প্রধান রিয়াজুল ইসলাম ওরফে শুটার রিয়াজ ও তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানান সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রিয়াজুল (২২) ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি চারজন হলেন জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা ভাগিনা (২৩), মারুফ হোসেন ওরফে মুন্না (২৩), মো. সেলিম (২৩) ও মাহবুব মিয়া (২৩)।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ১২টি গুলি, ৫টি ধারালো অস্ত্র ও ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের ভাষ্যমতে, রিয়াজুল হত্যাসহ ১৫ মামলার আসামি। তিনি অন্তত ১৫ সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও ও তার আশপাশের এলাকায় রিয়াজুলের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তাঁদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে জমি দখল, অবৈধভাবে বালু ভরাট, মাটিকাটার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, মাদক ব্যবসা।
র্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রিয়াজুল ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আসছিলেন। রিয়াজুলের বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পেতেন না।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে গত ২৯ মার্চ রূপগঞ্জে প্রকাশ্যে রিয়াজ বাহিনীর লোকজন গুলি ছোড়েন। তাঁরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এই ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
১৫ মার্চ রূপগঞ্জে রিয়াজ বাহিনীর গুলিতে শফিক ও শামীম মল্লিক নামের দুই ব্যক্তি আহত হন। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এই বাহিনী রূপগঞ্জে বিদ্যুৎ নামের এক ব্যক্তিকে নিশানা করে গুলি করে। এ সময় পাশের বাড়ির একটি শিশুর চোখে তা লেগে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। একই বছরের ৭ নভেম্বর রূপগঞ্জ এলাকায় রিয়াজ বাহিনীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়। ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রিয়াজুলের নেতৃত্বে এসব ঘটছে। পরে তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপর হয় র্যাব।