চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও মো. মিজান।
পুলিশের দাবি, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার পাশাপাশি তোরণ-ব্যানার ভাঙচুর করেন। পূজা ঘিরে সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁরা এ কাজ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে।
পুলিশের অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম নগরের কয়েকজন নেতাকে ফোন করা হয়, তবে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁদের অফিশিয়াল একটি মুঠোফোনে কল করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। ঘটনার দিন জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে তাঁরাই মিছিল বের করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন যে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তাঁরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার ভাঙচুর করেন। আসামিদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
১৬ অক্টোবর দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লা জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলা, ফটকের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে।