চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া ঢালা নামের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ভাইয়ার দীঘি গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে জাফর আলম (৩৫), একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ হাসান ওরফে বাচুম (৩৭), চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে জহির আলম (৪৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বরইতলী রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ছয় হাজার ইয়াবাসহ মোজাফ্ফর আহমদ ও জাহেদা বেগম নামের দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পুলিশকে জানান, বানিয়ারছড়া ঢালা এলাকায় রাত তিনটার দিকে ইয়াবার একটি বড় চালান হাতবদল হবে। পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ গোলাগুলি চলে।
পুলিশের দাবি, গোলাগুলির ঘটনায় চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, হারবাং ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সাজ্জাদ ও মো. সবুজ আহত হয়েছেন। তাঁরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি বন্দুক, ৭টি গুলি, ১৫টি গুলির খোসা ও ৪৪ হাজার ইয়াবা।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ইয়াবার চালান হাতবদলের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করলে মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়, অন্যজন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ইয়াবা উদ্ধার, হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। ছয় হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার মোজাফ্ফর আহমদ ও জাহেদা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।