ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ওরফে শুভ্র হত্যার ঘটনায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা রিয়াদুজ্জামানসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলাটি করেন নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান ওরফে প্রান্ত।
মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, এই হত্যার সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। মাসুদুরকে হত্যা ও তাঁর (রফিকুল) নামে মামলা দেওয়া সবই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে গৌরীপুর পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকানে মাসুদুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেন দুর্বৃত্তরা। রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। দুর্বৃত্তদের মধ্যে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান ছিলেন বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন। পরের দিন রোববার সকালে রিয়াদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, মাসুদুর আগামী নির্বাচনে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল। রিয়াদুজ্জামান এ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিলেও গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল হত্যার নেপথ্যে আছেন। রোববার দুপুরে কয়েকজন উত্তেজিত ব্যক্তি রিয়াদুজ্জামান ও মেয়র রফিকুলের বাড়িতে আগুন দেন।
মেয়র রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘মাসুদুর আমার ছেলের বয়সী ছিলেন। আমি তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারি না। আমি টানা ১৭ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি। দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমার যে জনপ্রিয়তা আছে, সেটার ওপর আমার আস্থা আছে। একটি রাজনৈতিক চক্র বিএনপির লোকদের নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। তাঁরা ঘটনার পরের দিন পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমাকেও মেরে ফেলা ছিল ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।’
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে এই মামলার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।