গোঁফ কামিয়ে বোরকা পরে পালাচ্ছিলেন সাহেদ : র‍্যাব

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে
র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীতে নৌকায় ওঠার সময় তাঁকে ধরে ফেলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন–র‍্যাব। র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সাহেদ বোরকা পরা ছিলেন।

আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছে একটি অবৈধ পিস্তল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর কাছে তিনটি গুলিও পাওয়া গেছে।

র‍্যাব জানায়, মঙ্গলবার তারা জানতে পারে, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে তারা ওত পেতে থাকে। ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁকে সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্তবর্তী ইছামতী নদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ বোরকা পরে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি তাঁর গোঁফ কামিয়ে ফেলেন। সাদা চুল কালো করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় হেলিকপ্টার। সকাল ৯টার দিকে সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে সাহেদকে র‍্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিকেলে ব্রিফিং হবে।
টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা, মনগড়া রিপোর্ট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের মতো ঘটনায় গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‍্যাব।

রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করার পর ৭ জুলাই র‍্যাব-১ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলার প্রধান আসামি সাহেদ।