মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিমুদ্দিনের জানাজায় পুলিশের গার্ড অব অনার না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগপাড়া কবরস্থানে তার জানাজাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানোতে ঘাটতি থাকবে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন। থানা-পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও তারা যথাসময়ে গার্ড অব অনার প্রদান করতে পারেনি।
মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু হেলাল বলেন, মো. নাজিমুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধার বিদায়বেলায় তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হবে না, এটি খুব দুঃখের বিষয়।
গাংনী উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ খালেক প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নাজিমুদ্দিনের জানাজাতে পুলিশের গার্ড অব অনার না দেওয়াকে কেন্দ্র করে জানাজাতে অংশ নেওয়া এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আগত লোকজন পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করেন। পরে তিনি তাদের এ বিষয়ে উত্তেজিত না হতে অনুরোধ করেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নাজিমুদ্দিনের মরদেহ উপজেলা প্রশাসন থেকে জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন গার্ড অব অনার দেওয়ার জন্য। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার ছুটিতে থাকায় ঠিক সময়ে পুলিশ জানাজাতে যেতে পারেনি।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। তিনি যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। ফলে একটি অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।