গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজপাড়া এলাকায় গতকাল বুধবার মধ্যরাতে খলিলুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। ঘরেই পাশেই তাঁর লাশ পড়ে ছিল। পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
খলিলুর গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার সাদেক আলীর ছেলে। আটক হয়েছেন তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০) এবং মেয়ে রিমি আক্তার (১৮) ও ঈশিতা আক্তার (১৪)।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম বলেন, খলিলুর রহমান পাটির ব্যবসা করতেন। তিন-চার মাস ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য নানা বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। সম্প্রতি তাঁরা আলাদা কক্ষে ঘুমাতেন। গতকাল মধ্যরাতে বড় মেয়ে রিমি তাঁর বাবাকে ঘরের বারান্দায় রেখে শৌচাগারে যান। পরে ফিরে এসে বাবাকে বারান্দায় পাননি। ঘরের ভেতরেও খুঁজে না মেয়ে মা আমেনা বেগমকে বিষয়টি জানান। পরে মা-মেয়ে দুজনই বাবাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বসতঘরের পেছনে খলিলের লাশ মেলে।
পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে আজ সকালে তারা লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির দুই পায়ের হাঁটু ও নাকে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফেলে রেখে গেছে।
ওসি জাবেদুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আটক করা হয়েছে।
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই দুজন পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন।