কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রাজু আহম্মেদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিএনপি প্রার্থীর দুই ভাবিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খোকসা পৌরসভার জানিপুর থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই বিএনপি প্রার্থীর ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে খোকসা থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিমুল ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুলসহ আটক সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির প্রার্থী রাজু আহম্মেদ অভিযোগ করেন, রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তারিকুল ইসলামের ভাতিজা অনিকসহ ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ১৫ থেকে ২০ জন বাড়িতে এসে হামলা চালান। এ সময় বাড়িতে থাকা নিকট আত্মীয় আবদুর রশীদকে মারধর করে আহত করেন তাঁরা।
মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির নারী সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করেন তাঁরা। আবদুর রশীদকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। মাঠেই নামা যাচ্ছে না। বাড়িতে এসে রাতের অন্ধকারে হামলা চালাবেন, এটা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিএনপির প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা এসব করেছেন, তাঁদের ধরা হয়েছে। সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আনছার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নিয়মিত মামলা হচ্ছে। শহরে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে যা যা করার তার সব করা হচ্ছে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তারিকুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তিনি লাইন কেটে দেন। ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।