অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ১৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজ প্রথম আলোকে বলেন, ১ ডিসেম্বর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম ও এর প্রধান সম্পাদকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে দেখা যায়, বিডিনিউজের ৯টি ও খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিডিনিউজের নামে দুটি ব্যাংকের ৯টি হিসাবে অবরুদ্ধ টাকার পরিমাণ ১৮ কোটি টাকা। খালিদীর তিনটি ব্যাংকে মোট ১৩টি স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) অবরুদ্ধ টাকার পরিমাণ ২৪ কোটি।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অস্থাবর সম্পত্তি বা স্থায়ী আমানতের হিসাবগুলো মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২), ৪(৩) এবং দুদক আইনের ২৭(১) ধারার অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই হিসাবগুলো অবরুদ্ধ না করা হলে তা হস্তান্তর করার সম্ভাবনা আছে, যা পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। দুদকের আবেদন ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আদালত অবরুদ্ধের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্য জানতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও বার্তা পাঠিয়ে তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কার্যালয়ে ফোন করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিডিনিউজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
একই ঘটনায় এল আর গ্লোবাল (এলআরজি) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলামকে গত ৪ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
আরও পড়ুন:
সুনির্দিষ্ট অভিযোগে খালিদীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে: দুদক সচিব
খালিদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে এলআরজি সিইওকে তলব