প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনেকে শৃঙ্খলা বা আচরণবিধি মানছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা মানা নিয়েও অনেকের অনিচ্ছা দেখা যাচ্ছে। ফলে কখনো কখনো তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসংগত আচরণ করছেন। ক্ষমতার অন্যায্য ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছেন। এমন নানা অভিযোগসহ গত বছর করোনাকালেও ৮৮টি বিভাগীয় মামলার শুনানি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় জনপ্রশাসনসচিব শেখ ইউসুফ হারুন প্রশাসন-পরিবারের কিছু সদস্যের ভুলত্রুটির কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য প্রশাসন ও প্রশাসনের বাইরে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রশাসনের ভেতরের কেউ কেউ অবশ্য এতে অখুশি হয়েছেন।
জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদের সাবেক একাধিক সচিব প্রথম আলোকে বলেছেন, অপরাধ আগেও ছিল। কিন্তু এখন অনেক কর্মকর্তা যা ইচ্ছা তা-ই করছেন। এর কারণ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকর্তারাও আবার মন্ত্রী-সাংসদদের ব্যবহার করছেন। বদলি, ঢাকায় থাকতে চাওয়া, ভালো পোস্টিং—এসব ক্ষেত্রে তাঁরা এলাকার সাংসদ বা মন্ত্রীদের দিয়ে তদবির করান। নানা অন্যায্য কর্মকাণ্ডে জড়ালেও তাঁদের সহায়তা চাচ্ছেন বা পাচ্ছেন। কিছু কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড থেকে শুরু করে সচিব হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যবহার করেন এবং নিজেও ব্যবহৃত হন।
সংশ্লিষ্টদের ভুলত্রুটি শুধরে দিতেই ওই বৈঠকে আমি কথাগুলো বলেছি। আমি তো বাস্তবতা জেনে কথা বলেছি। সিভিল সার্ভিসকে বাদ দিয়ে তো বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কর্মকর্তারা যদি নিজেদের শোধরাতে না পারি, তাহলে ১০-১৫ বছর পর লোকে বলবে সিভিল সার্ভিসের দরকার নেইশেখ ইউসুফ হারুন, জনপ্রশাসনসচিব
জনপ্রশাসনসচিব গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা এত বেশি যে প্রতিদিন তিন-চারটি করে বিভাগীয় মোকদ্দমা শুনতে হয়, যা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি কর্মকর্তাদের অসদাচরণ ও অদক্ষতার কথাও তুলে ধরেন।
একাধিক জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসি ল্যান্ড নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জনপ্রশাসনসচিবের বক্তব্যে তাঁদের হেয় করা হয়েছে। তাঁদের ব্যথিত করেছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসনসচিব শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের ভুলত্রুটি শুধরে দিতেই ওই বৈঠকে আমি কথাগুলো বলেছি। আমি তো বাস্তবতা জেনে কথা বলেছি। সিভিল সার্ভিসকে বাদ দিয়ে তো বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কর্মকর্তারা যদি নিজেদের শোধরাতে না পারি, তাহলে ১০-১৫ বছর পর লোকে বলবে সিভিল সার্ভিসের দরকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কিন্তু আমরা কি তাঁকে সহযোগিতা করছি? আমি আবারও বলছি, সরকারি কর্মকর্তা হলে আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।’
কর্মকর্তাদের কারও কারও অভিযোগ, জনপ্রশাসনসচিব গ্রাম আদালত বা স্বামী-স্ত্রীর তালাকের মতো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। জবাবে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘আচরণবিধি বা শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী যেসব বিষয় প্রকাশ্য চলে আসে, তা অসদাচরণ। অভিভাবক হিসেবে আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে কর্মকর্তাদের কিছু বিষয়ে সমাধান দিই। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করি না।’
আমাদের নৈতিকতার মান মোটা দাগে নিচে নেমে গেছে। তাই লাগাম টেনে ধরার কোনো বিকল্প নেই। আমার ধারণা, সচিব যেভাবে ঘরোয়া বৈঠকে কনিষ্ঠ সহকর্মীদের হুঁশিয়ার করলেন, তার প্রয়োজন ও গুরুত্ব আছে। জনপ্রশাসনসচিবের দায়িত্বের একটি হলো তাঁর কর্মী বাহিনীকে শাসন করা। কারণ, তিনি তাঁদের অভিভাবকমোহাম্মদ শফিউল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক
মাঠ প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কিছু কার্যকলাপের কারণে সবাইকে সতর্ক হওয়ার জন্য জনপ্রশাসনসচিব ২৪ ডিসেম্বর এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। তাঁরা এর সমর্থনে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন। যেমন নিজের নিরাপত্তার জন্য শটগান কিনেছিলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খান। ১৯ অক্টোবর রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিজের সরকারি বাসভবনের পুকুরপাড়ে তিনি পরীক্ষামূলক (টেস্ট ফায়ারিং) চারটি গুলি করেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, এভাবে বাড়িতে অস্ত্র পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনসচিব বলেছেন, ‘ইউএনও সাহেব বন্দুক কিনেছেন, রাতের বেলায় সেটি জাহির করার জন্য তিনি ফায়ার করলেন। এ রকম করতে হবে কেন? সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কী করতে পারব, কী করতে পারব না—সেটি আমরা জানি। আচরণবিধি ছাড়াও অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ কী, তা-ও আমরা জানি। এগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।’
কুড়িগ্রামে গত বছরের ১৫ মার্চ মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে এক সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। ওই ঘটনায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাঁকে ও তাঁর বাবাকে গুরুতর আহত করে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে জানা যায়, ওয়াহিদা খানমের বাসায় নগদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা ছিল।
‘এটা সত্য, আমাদের কিছু কিছু কর্মকর্তা আচরণবিধি ভাঙছেন। যেমন কাউকে বদলি করলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কোনো অন্যায় ধরলে ফেসবুকে বিষোদ্গার করছেন। অনেকে নিয়মিত কাজকে ফেসবুকে দিচ্ছেন। সবারই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা উচিতমো. মহিবুল হক , বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নৈতিকতার মান মোটা দাগে নিচে নেমে গেছে। তাই লাগাম টেনে ধরার কোনো বিকল্প নেই। আমার ধারণা, সচিব যেভাবে ঘরোয়া বৈঠকে কনিষ্ঠ সহকর্মীদের হুঁশিয়ার করলেন, তার প্রয়োজন ও গুরুত্ব আছে। জনপ্রশাসনসচিবের দায়িত্বের একটি হলো তাঁর কর্মী বাহিনীকে শাসন করা। কারণ, তিনি তাঁদের অভিভাবক।’
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খানও মনে করেন, প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কোনো কর্মকর্তা প্রশাসনিক সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে অন্যদের বিব্রত করছেন। তবে এটা নতুন নয়। এখন সংখ্যায় বেড়ে যাওয়ায় এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে চোখে পড়ছে বেশি।
৭ মে জারি করা এক সরকারি পরিপত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, মন্তব্য, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয় করে কোনো পোস্ট দেওয়া বা মন্তব্য করা যাবে না।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা সত্য, আমাদের কিছু কিছু কর্মকর্তা আচরণবিধি ভাঙছেন। যেমন কাউকে বদলি করলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কোনো অন্যায় ধরলে ফেসবুকে বিষোদ্গার করছেন। অনেকে নিয়মিত কাজকে ফেসবুকে দিচ্ছেন। সবারই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২০২০ সালে মোট ৮৪টি বিভাগীয় মোকদ্দমা শুনতে হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি মামলা আগের। এর মধ্যে গুরুদণ্ড হয়েছে সাতটি মামলায়। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ১০ জন। অনিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৫৭। আদালতে ছয়টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। চারটি মামলায় আপিল করা হয়েছে।
অদক্ষতা, অসদাচরণ, পলায়ন, দুর্নীতির অভিযোগ বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি—এ পাঁচ ধরনের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা করা হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ মামলা হয় অসদাচরণের জন্য। এ জন্য দুই ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় তাঁদের। লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড। লঘুদণ্ডের মধ্যে আছে তিরস্কার করা, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা অথবা বেতন গ্রেড নিম্নতর ধাপে নামিয়ে দেওয়া। বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত হলো গুরুদণ্ড।
আমরা চাই না আমাদের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ আসুক। তাঁরা আমাদের সম্পদ। সে জন্য তাঁদের আচরণবিধি মানতে হবে। তাঁদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কত ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁরা কেন ভুল করবেন?’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের ছোট অপরাধ আমরা মানবিক বিবেচনায় দেখি। কিন্তু তাঁরা যেন বড় অপরাধে জড়িয়ে না পড়েন, সে বিষয়েই হুঁশিয়ার করেছেন জনপ্রশাসনসচিবফরহাদ হোসেন , জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বেতন বেড়েছে; সেই সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপরাধও যেন বেড়ে গেছে। এমন কর্মকর্তা সংখ্যায় হয়তো কম, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ তাঁদের হাতে চলে গেছে। এর বড় একটি কারণ রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং হস্তক্ষেপ। ফলে মাঠ প্রশাসনের শৃঙ্খলা শিথিল হয়ে গেছে। জনপ্রশাসনসচিবের এ সতর্কবাতা দেওয়ার খুব দরকার ছিল।
নভেম্বরে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৈঠকে যাঁদের বিষয়ে আলোচনা হয়, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন অতিরিক্ত সচিব ইফতেখারুল ইসলাম, উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম, সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সাবেক ইউএনও (বর্তমানে ওএসডি) আসিফ ইমতিয়াজ, কুড়িগ্রামের সাবেক সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সাবেক সহকারী কমিশনার (এনডিসি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, সাময়িক বরখাস্ত সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সাবেক এসি ল্যান্ড সৈয়দ মাহবুবুল হক, বরগুনার সাবেক সহকারী কমিশনার আবু জাফর সিদ্দিকী, দিনাজপুরের সাবেক এসি ল্যান্ড আরিফুল ইসলাম, নীলফামারীর সাবেক এসি ল্যান্ড মো. আরিফুজ্জামান প্রমুখ। তবে এসব মামলায় এখনো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। এখনো তদন্ত চলছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ আসুক। তাঁরা আমাদের সম্পদ। সে জন্য তাঁদের আচরণবিধি মানতে হবে। তাঁদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কত ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁরা কেন ভুল করবেন?’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের ছোট অপরাধ আমরা মানবিক বিবেচনায় দেখি। কিন্তু তাঁরা যেন বড় অপরাধে জড়িয়ে না পড়েন, সে বিষয়েই হুঁশিয়ার করেছেন জনপ্রশাসনসচিব।’