কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই, ভোট স্থগিত

আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে পড়ে আছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট। ছবি: মহিউদ্দিন নিলয়
আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে পড়ে আছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট। ছবি: মহিউদ্দিন নিলয়

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই ও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আর দুটি কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরে চালু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্য, পশ্চিমবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নৌকা মার্কা প্রার্থীর ৩০ থেকে ৪০ জন সমর্থক লাঠি ও রড নিয়ে ঢুকে দুটি কক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দেন। তাঁরা ব্যালটও ছিনতাই করে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রায় ২০০ ব্যালট ছিনতাই করেন তাঁরা। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তবে তাঁরা তা পারেননি। এরপর বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহিতোষ সূত্রধর বলেন, এখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

কদমতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। ছবি: মহিউদ্দিন নিলয়

উপজেলার চৌধুরী হামদু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আজ বেলা ১১টার পর কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী মরতুজা হাসানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখানে আনারস মার্কার প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখার পর আবার তা চালু হয়। আনারস মার্কার প্রার্থীর এজেন্টরাও ফিরে এসেছেন।

আজমিরীগঞ্জের কদমতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আনারসের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকার সিল মারার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে এখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। ঘটনা জানতে পেরে জেলার নির্বাহী হাকিম আনিসুর রহমান খান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আনারসের এজেন্টদের ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এরপর সেখানে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এখানে জাল ভোটের অভিযোগে একজনকে আটকও করা হয়েছে।