কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক হিন্দু দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রাম থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া দুজন হলেন দিপুল কুমার রায় (৩১) ও তাঁর স্ত্রী সোহাগী রানী (২৫)। সোহাগী রানী ভালুকা গ্রামের ভরতচন্দ্র মণ্ডলের মেয়ে। দিপুল কুমার রায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কোমল কুমার রায়ের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, চলতি বছরের ২৭ জুন তাঁদের বিয়ে হয়। পূজায় তাঁরা সোহাগীর বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
সোহাগী রানীর চাচাতো ভাই লিপু মণ্ডলের ভাষ্য, আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর চাচাতো বোন শিল্পী টুথপেস্ট নেওয়ার জন্য সোহাগীদের কক্ষের দরজার কড়া নাড়েন। এ সময় ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ফেলা হয়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা ঘরের ভেতরে গিয়ে দেখতে পান সোহাগী রানী বিছানায় পড়ে আছেন। দিপুল ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
লিপু মণ্ডল জানান, আগের দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেয়ে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের বিরোধের কথা তাঁরা কেউ জানেন না।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে জানান, দরজা ভেঙে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।