ডাবর আমলা হেয়ার অয়েল, কুমারিকা ওয়েল, জনসন বেবি লোশন, তেল ও শ্যাম্পু, হিমালয়া ফেসওয়াশ, ফগ স্প্রে—সবই আছে। এমন ২৮ ধরনের নকল প্রসাধনী বাজারে ছাড়ার পাঁয়তারা চলছিল।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চারা বটতলায় এলাকায় এক বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব ও জেলা প্রশাসনের যৌথ দল।
বাড়ির ভেতর তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়। এসব নকল পণ্য রাখার দায়ে বাড়ির মালিক দুলাল শাহকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া দুলাল শাহের স্ত্রী বুলু খাতুনকে আটক করে র্যাব ক্যাম্পে নেওয়া হয়। ছেলেসহ তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। তবে ছেলে ওলিউর রহমান পলাতক।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) কুষ্টিয়া ক্যাম্প ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নকল পণ্য বাজারে ছাড়ার পাঁয়তারা করছিলেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও র্যাব সম্মিলিতভাবে দুলাল শাহের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী, নকল স্টিকার উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম এম এ মুহাইমিন আল জিহান। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫০ ধারায় দুলাল শাহকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করেন।
কুষ্টিয়া র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মোহাইমেনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক ওলিউর যশোর থেকে এসব পণ্য এনে বাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে তা বাজারে ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করছিলেন। এগুলো দেখতে হুবহু আসল পণ্যের মতো। ক্রেতারা এগুলো আসল কি না, তা বুঝতে মুশকিলে পড়ত।
মোহাইমেনুর বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক ওলিউরকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা আছে।