মৌলভীবাজারের কুলাউড়াতে নিখোঁজের তিন দিন পর সৈয়দ হোসাইন আহমদ ওরফে মারজুক (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর খোঁজ মিলেছে। আজ সোমবার ভোরে জেলা সদরের একটি পেট্রল পাম্পের সামনে পুলিশ তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় পায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হোসাইন জুড়ী উপজেলার সৈয়দ হারুনুর রশীদের ছেলে। তিনি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়েন।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, হোসাইন কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরা এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেন। পাশাপাশি তিনি একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন। গত শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য কুলাউড়ার রেলস্টেশন এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন। মুঠোফোনে মাকে এমনটাই জানান। এর কিছু সময় পর তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর আর সন্ধান পাননি। এ ঘটনায় হোসাইনের বাবা কুলাউড়া থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর আজ ভোর পাঁচটার দিকে টহল পুলিশের একটি দল তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় খুঁজে পান। পুলিশের দলটিই হোসেনের মুঠোফোন থেকে নম্বর নিয়ে বিষয়টি স্বজনদের জানায়।
হাসপাতালে থাকা হোসাইনের বাবা হারুনুর রশীদের সঙ্গে বেলা তিনটার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হোসাইন দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। কারও সঙ্গে সে কোনো কথা বলছে না।’ তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই এবং কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গেও ছেলের সংশ্লিষ্টতা নেই।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হাসপাতালে তদন্তের জন্য কর্মকর্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসাধীন থাকায় হোসাইনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সুস্থ হওয়ার পর থানায় নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।