রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত আইইডিতে (হাতে তৈরি বোমা) কী বিস্ফোরক ছিল, তা প্রকাশ করতে রাজি নয় বিস্ফোরক পরিদপ্তর। পাঁচটি ঘটনার দুটিতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক তারা এরই মধ্যে পরীক্ষা করেছে। বাকি তিনটি ঘটনার আলামত এখনো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
পুলিশের ওপর সাম্প্রতিক পাঁচটি বোমা হামলার চারটিই ছিল দূরনিয়ন্ত্রিত। ধারাবাহিক এই হামলার শুরু গত ২৯ এপ্রিল। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট রাতে সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে হামলায়ও একই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার
ধরন একই। ব্যবহৃত বিস্ফোরকও একই ধরনের। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু, সময় ও স্থান নির্ধারণ এবং সর্বোপরি হামলার ধরন দেখে তাঁরা মনে করছেন, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ কোনো দল ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।
গত ২৯ এপ্রিল রাতে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের পাশে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল লিটন চৌধুরী, কনস্টেবল নজরুল ইসলাম ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মো. আশিক আহত হন। ২৬ মে মালিবাগের ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক রাশেদা খাতুন এবং একজন রিকশাচালক ও যাত্রী আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামত পাঠানো হয়েছিল বিস্ফোরক পরিদপ্তরে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক সামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ ককটেলে যে বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়, এ দুটি ঘটনায় সেই বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছে। বিস্ফোরক পদার্থের নাম, ধরন বা কার্যক্ষমতা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
পাঁচটি ঘটনার ক্ষেত্রেই ‘বিস্ফোরক উপাদানাবলি’ আইনে মামলা হয়েছে। সাধারণত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাগুলোয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত কোনো ঘটনার পর মামলার যে উপাদানাবলি পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতেই মামলা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।