সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কাগজের আড়ালে সিগারেট আমদানি করেছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ১২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জে কে স্টেশনারি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর আকারের কাগজের ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। কনটেইনারটি জাহাজ থেকে নামানোর পর খালাসের ব্যবস্থা নেয়নি আমদানিকারক। সন্দেহজনক আমদানি হিসেবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটির খালাস স্থগিত করে রাখে। গতকাল সোমবার কনটেইনারটি খুলে পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন কর্মকর্তারা।
কনটেইনার খুলে কাস্টমস কর্মকর্তারা দেখতে পান, কাগজ আমদানির ঘোষণা দেওয়া হলেও কনটেইনারে পাওয়া গেছে ২৪ হাজার ৯৯০টি কার্টনে প্রায় ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট। এই সিগারেটের কার্টনের চারপাশে ছিল কাগজ। কাগজ পাওয়া গেছে ১৩ হাজার ৭০০ কেজি।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, এ হিসাবে চালানটিতে আমদানিকারক প্রায় ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় ফৌজদারি, মুদ্রা পাচার ও কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়মানুযায়ী শর্ত মেনে সিগারেট আমদানি করতে হয়। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকতে হয়। আবার সিগারেটে মোট শুল্ক-কর ৬০৩ শতাংশ। অর্থাৎ সিগারেটে আমদানিমূল্য ১ টাকা হলে শুল্ক-কর দিতে হবে প্রায় ৬ টাকা। মূলত শুল্ক-কর ফাঁকি দিতেই বিদেশ থেকে কৌশলে সিগারেটে নিয়ে এসেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিগারেটের আরেকটি চালান আটক করেছিল কাস্টমস। ওই চালানটিতে ৪৬ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়।