জমির বিরোধ নিয়ে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলহাচুরা এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার ব্যক্তি। তাৎক্ষণিক আহত ব্যক্তিদের নাম–ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক ও সাতটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বিলহাচুরা এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আজিজুল হক (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, বিলহাচুরা এলাকায় চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া জামে মসজিদের নামে ৬৩ একর ৩৫ শতক জমি রয়েছে। এই জমির তত্ত্বাবধান নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলছে। আজ সকালে এ জমির মৎস্য ঘেরে পানি ঢোকানোর চেষ্টা করেন জালাল ও তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন আরিফের লোকজন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আরিফ পক্ষের নেজাম উদ্দিন ও জালাল পক্ষের আজিজুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন। নেজাম উদ্দিন ও আজিজুল হককে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ চারজনই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোবেল বলেন, নেজাম ও আজিজের গলা, বুক, পেট ও ঊরুতে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় ১১ জনকে আটক ও জালালের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে সাতটি লম্বা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিক ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এখন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া একটি পুকুর থেকে দেশে তৈরি সাতটি লম্বা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখনো ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।