সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিক্ষার তরুণীর (২০) স্বামী বাদী হয়ে শনিবার সকালে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নয়জন আসামির মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ূম চৌধুরী মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) থেকে মামলার এজাহার থানায় পাঠানো হয়। এজাহার দাখিলের পরপরই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেটি নথিভুক্ত (নম্বর ২১) করা হয়েছে।
নাম উল্লেখ করা ছয় আসামি হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লঙ্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তাদের সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিতি। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র। নাম উল্লেখ করা ছয়জনের সঙ্গে তিনজন সহযোগী ছিলেন উল্লেখ করে তাদের অজ্ঞাত বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৫ সেপ্টেম্বর আসামিরা বাদীর কাছে (তরুণীর স্বামী) চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাদের ব্যক্তিগত গাড়িটি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের পঞ্চম তলা ভবনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। স্বর্ণালংকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।