দেশে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় গত ১১ বছরে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং এককভাবে ধর্ষণের পর হত্যা বা মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আরও ১৪৪ জন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে দেখা যায়, পাঁচজনের মধ্যে একজনের ফাঁসি হয় ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে। দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসি হয় বাকি চারজনের। ধর্ষণের পর হত্যায় এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আগে থেকেই রয়েছে।
বিভিন্ন মামলার রায় বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে প্রমাণের দায়ভার অনেক বড় হয়। সে ক্ষেত্রে চুলচেরা সুনিশ্চিত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির খালাস পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। নিম্ন আদালতে হওয়া মৃত্যুদণ্ডের বেশির ভাগ উচ্চ আদালতে টেকে না। বিচারপ্রার্থীর অপেক্ষা দশকের পর দশক গড়ায়। এমনিতেই ধর্ষণ মামলা ঝুলে থাকে, সাজার হারও নগণ্য।
ঢাকার নয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) প্রথম আলোকে বলেছেন, এ বছর ধর্ষণের মামলায় দুটি ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল দুটিতে বিচারাধীন ধর্ষণের মামলার মোট সংখ্যা সাত শতাধিক।
নারী নির্যাতনের বিচারের জন্য প্রথম বিশেষ আইন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে, অধ্যাদেশ হিসেবে। ১৯৯৫ সালে এসেছিল নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন। এখন রয়েছে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, যেটি ২০০৩ সালে সংশোধিত হয়েছে।
আইনটিতে একক ব্যক্তির করা ধর্ষণের পর নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী নিহত বা আহত হলে সর্বোচ্চ সাজা ছিল প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড। ধারা দুটি যথাক্রমে ৯(২) ও ৯(৩)। তবে একক ব্যক্তির করা ধর্ষণের সাজা ছিল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।
দেশজুড়ে আন্দোলনের মুখে ১৩ অক্টোবর সরকার ধর্ষণের মামলাতেও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করে অধ্যাদেশ জারি করেছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, কিন্তু দেশে এই ঘৃণ্য অপরাধ সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারটিতে সংশোধন আনা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় এ অপরাধের সংখ্যা শুধু কমে আসবে না, বন্ধ হয়ে যাবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল সময়ে দেশে মোট ৪৭টি ফাঁসি কার্যকর হয়। এর মধ্যে দলবদ্ধভাবে ও এককভাবে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মোট পাঁচজনের ফাঁসি হয়েছে।
২০০৯ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ নান্নু মিয়া নামের একজনের ফাঁসি হয়। ঘটনাটি ছিল দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের। একই তারিখে আরেকটি মামলায় তিন আসামি মিনারুল ইসলাম, শুকুর আলী মণ্ডল ও একরামুল হক আনিছের ফাঁসি কার্যকর হয় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই মামলায় দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের সঙ্গে যৌতুকের কারণে হত্যার অভিযোগও ছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মিনারুল বিয়ে করেছিলেন একই গ্রামের শের আলীর মেয়ে মিনুয়ারাকে। বিয়ের পরপরই মিনারুল এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মিনুয়ারার পরিবার তা দিতে পারেননি। ২০০০ সালের ১ সেপ্টেম্বর আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে মিনারুল দুই বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে হাজরাহাটি গ্রামের এক মাঠে নিয়ে যান। তিনজন দলবদ্ধভাবে মিনুয়ারাকে ধর্ষণ করেন। তারপর তাঁকে জবাই করে হত্যা করে লাশ একটি কুয়ায় ফেলে দেন।
শাজনীন হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল শাজনীন তাসনিম রহমান খুন হন। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুন এবং তা পরিকল্পনা ও সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সর্বোচ্চ আদালতে পাঁচজনের আপিল মঞ্জুর হয়। শহীদুলের আপিল খারিজ হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দীর সংখ্যা ৩৬৫। তাঁদের মধ্যে শুধু ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দী রয়েছেন ১৪৪ জন পুরুষ।
মৃত্যুদণ্ড সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা বিভাগে (৭৬ জন)। বাদবাকি মৃত্যুদণ্ডগুলো হয়েছে খুলনা (৩৭ জন), রাজশাহী (১৮ জন), চট্টগ্রাম (১১ জন) এবং সিলেট (২ জন) বিভাগে। ফাঁসিতে দণ্ডিত ব্যক্তিসহ ধর্ষণের মামলায় মোট হাজতি ও কয়েদির সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬৮। তাঁদের ২৩ জন নারী।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোট ১ হাজার ৫৮৬ জনের এবং আপিল বিভাগে ২৪১টি জনের আপিলের মামলা বিচারাধীন। তবে এগুলোর মধ্যে ধর্ষণের কারণে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আপিলের সংখ্যা জানা যায়নি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাগুলোর বিচারের জন্য সারা দেশে ৯৫টি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। ঢাকায় প্রথম ট্রাইব্যুনালটি হয় ১৯৯৬ সালে, এখন আছে নয়টি। শেষ চারটি ট্রাইব্যুনাল হয়েছে ২০১৮ সালে।
প্রথম আলো এই নয়টি ট্রাইব্যুনালের পিপিদের সঙ্গে কথা বলেছে। পিপিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১ ও ৩ নম্বর ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের দুটি মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ৩ নম্বর ট্রাইব্যুনালের পিপি মাহমুদা আক্তার বলেছেন, ওই আদালতে ৫০০-এর মতো ধর্ষণের মামলা বিচারাধীন। ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালের পিপি আবদুল বারী জানিয়েছেন, সেখানে ২২৭টি ধর্ষণের মামলা বিচারাধীন।
গত ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনাল-৩ আরেকটি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় গত ৩ মার্চ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
দুটি আদালতেই গত তিন বছর ধর্ষণের কোনো মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়নি। চারটি ট্রাইব্যুনালে (৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর) এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধেই মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়নি। সাম্প্রতিক অধ্যাদেশের আগপর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল।
বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উচ্চ আদালতে আসামিদের ৪৮টি আপিল মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে।
এগুলোর মধ্যে সাতটি মৃত্যুদণ্ড ছিল। সব কটির আসামিরাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত পাঁচটি মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করেন। বাকি দুটি ক্ষেত্রে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন। তাঁরা আপিল বিভাগে গিয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদা প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডিত পক্ষই সচরাচর সাজা কমানোর জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে। অনেক মামলায় ট্রাইব্যুনালে আসামি খালাস বা কম সাজা পান। সেসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর হয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কদাচিৎ আপিল করে। অর্থাৎ রাষ্ট্র ভুক্তভোগীকে কাঙ্ক্ষিত বিচার পাইয়ে দিতে গরজ করে না।
সংগঠনটি মামলার তথ্য নিয়েছে ছয়টি বেসরকারি আইনি প্রকাশনা (ল রিপোর্ট) থেকে। এগুলো হচ্ছে, ঢাকা ল রিপোর্টস (ডিএলআর), বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিসিশনস (বিএলডি), বাংলাদেশ ল টাইমস (বিএলটি), বাংলাদেশ ল ক্রনিক্যালস (বিএলসি), অ্যাপিলেট ডিভিশন কেইসেস (এডিসি) এবং মেইনস্ট্রিম ল রিপোর্টস (এমএলআর)।
অপরাধে অভিযুক্ত শিশুর ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থেই মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প বিধান আনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জে ১৪ বছর বয়সী শুকুর আলী ৭ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল বলে বিচারে প্রমাণিত হয়। ঘটনাকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইনের ৬(২) ধারায় এ অপরাধের একমাত্র সাজা ছিল মৃত্যুদণ্ড। ট্রাইব্যুনাল শুকুরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। প্রথমে হাইকোর্ট এবং তারপর ২০০৫ সালে আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রাখেন। সে বছরই রায়টির বিরুদ্ধে ব্লাস্ট একটি রিট আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৫ মে আপিল বিভাগ ১৯৯৫ সালের ওই আইনের তিনটি ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করেন। অপরাধ সংঘটনের সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শুকুর আলীর সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে ডিএলআর, বিএলডি ও বিএলসি থেকে ওই আইনে করা ছয়টি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তথ্য দিয়েছেন। প্রতিটিতে হাইকোর্ট অন্তত একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন। এগুলোর তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পুলিশের তিনজন সদস্যের ফাঁসি হয় ২০০৪ সালে। একই বছর বাক্প্রতিবন্ধী শিশু সালমার ঘটনায় ফাঁসি হয় রিকশাচালক মোসলেমের। আর শাজনীনকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি হয় ২০১৭ সালে। অন্য তিনটি ঘটনায় দণ্ডিত আওয়াল ফকির, আজাদ মিয়া ও রহিম সিকদারের শেষ পর্যন্ত ফাঁসি হয়েছে কি না অথবা তাঁরা কোথায় কী অবস্থায় আছেন, তা জানা যায়নি।
সারা দেশে সরকারের ৭৮টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৫ হাজার ২০৫ জন যৌন সহিংসতার ভুক্তভোগী নারী ও শিশু সেবা নিয়েছে। মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৭৬৩টি। এ সময় নিষ্পন্ন ৩০২টি মামলার মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ১৮টিতে।
২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রথম আলোর এক অনুসন্ধান বলছে, ঢাকার ট্রাইব্যুনালগুলোতে ধর্ষণসংক্রান্ত তিনটি গুরুতর অপরাধের নিষ্পন্ন মামলায় সাজার হার মাত্র ৩ শতাংশ। অনুসন্ধানটি ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালীন সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো মামলার বিচার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিল।
তখন ঢাকায় ট্রাইব্যুনাল ছিল পাঁচটি। মামলাগুলো ছিল ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত মৃত্যু ও হত্যা এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের (মৃত্যু, হত্যাসহ)। অর্ধেকের মতো মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল। সাজা হয়েছিল মোট ৮৭টি মামলায়। ৬টিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছিল, আর ৭৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণভাবে ফৌজদারি মামলায় সাজার হার কখনোই ৫-৬ শতাংশের বেশি নয়। দণ্ডদানের দশা এই হলে সাজার মাত্রা বাড়িয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত স্বাধীন, পক্ষপাতশূন্য ও ভালো না হলে বিচারকাজ কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ পিপি নিয়োগ করা দরকার। না হলে সাজার হার বাড়বে না। সাজার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে ধর্ষণ দমন করা দুরাশা হয়ে থাকবে।