বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম ও বাঁ হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার উজিরপুর মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
উপজেলার শোলক ইউনিয়নে রোববার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর বাবাকে কুপিয়ে জখম করে হাত উত্ত্যক্তকারীরা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় লোকজন, আহত ব্যক্তি ও পুলিশ জানান, শোলক ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই ছাত্রীকে (১৩) স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের মঈন হাওলাদার (২১) উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। রোববার সকালে বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে মঈন মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করলে সে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। এরপর মেয়েটির বাবা মঈনকে ডেকে এর প্রতিবাদ জানান।
ছাত্রীর বাবা (৪৩) অভিযোগ করেন, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মঈন ক্ষিপ্ত হন। রোববার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারের উদ্দেশে বের হন। এ সময় পথে ওত পেতে থাকা মঈন সহযোগীদের নিয়ে তাঁর পথরোধ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে তাঁর বাঁ হাতের তিনটি স্থান ও দুটি আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়। পরে তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, রোগীর বাঁ হাতের একাধিক স্থানে ভাঙা দেখা গেছে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই দিন রাতে তাঁকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মঈন হাওলাদার ও তাঁর বাবার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মঈন হাওলাদারের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর বাবার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।