পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা থেকে আজ শনিবার সকালে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাঁড়ার চারা বটতলা ও মুলাডুলি ইউনিয়নের চকনারিচা বাঘবাড়িয়া এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চারা বটতলা এলাকার আলতাফ আলী (৫২) ও শহরের অরণকোলা এলাকার সাকিব হোসেন (২০)। পুলিশের দাবি, আলতাফ আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আছে। এ ছাড়া দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে চারা বটতলায় আহত হয়েছেন মতিয়ার রহমান নামের একজন গ্যারেজ পাহারাদার। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে চারা বটতলা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ভেতরের কক্ষে আলতাফ আলীর রক্তাক্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকীর নেতৃত্বে পুলিশ আলতাফের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আলতাফের মাথায় গুলির আঘাতে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পুরো শরীর রক্তে ভেজা ছিল। নির্মাণাধীন ওই বাড়ির পাশেই রয়েছে অটোরিকশার একটি গ্যারেজ। আহত মতিয়ার রহমান ওই গ্যারেজের পাহারাদার ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চিৎকার শুনে তাঁরা বাড়ির বাইরে এসে দেখেন, মতিয়ার রহমান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর শরীরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। এ সময় আহত মতিয়ার রহমান স্থানীয় দুজন বাসিন্দাকে জানান, মুখ ঢাকা অবস্থায় চার ব্যক্তি তাঁর ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে, একই সময় মুলাডুলি ইউনিয়নের চকনারিচা বাঘবাড়িয়া এলাকা থেকে সাকিব হোসেন নামের এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাশেম জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর সাকিব বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতে আর ফিরে আসেননি। সকাল সাতটার দিকে সাকিবের নানার বাড়ির গ্রামের শামসুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি পুকুরপাড়ে সাকিবের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। সাকিবের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, নিহত আলতাফ আলীর বিরুদ্ধে ১৩টির বেশি মাদক মামলা আছে। মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত দ্বন্দ্বে আলতাফ খুন হতে পারেন। সাকিব প্রসঙ্গে ওসি বলেন, এটি কোনো হত্যাকাণ্ড কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।