টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের এক সোর্সকে আটক করেছে এলাকাবাসী। অভিযোগ, এক ব্যক্তির পকেটে তারা ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটক পুলিশ সদস্যরা পাশের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ফাঁড়িতে কর্মরত। ঘটনার সময় তাঁরা সাদা পোশাকে ছিলেন।
পুলিশে দেওয়া এই চার ব্যক্তি হলেন, বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা ও রাসেল মিয়া এবং তাঁদের সোর্স হাসান আলী।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে সোর্সসহ এই তিন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় আসেন। এ সময় তাঁরা ওই এলাকার মো. ফরহাদের ছেলে দিনমজুর মো.বজলুর রহমানের (২৬) পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে জোর করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলেন। এ সময় বজলুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে ওই অটোরিকশা আটক করে। পরে বজলুরের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উপস্থিত লোকজনকে পুলিশ সদস্যদের পকেট তল্লাশি করে আরও কিছু ইয়াবা পায়। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁদের পিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রেখে সখীপুর থানা-পুলিশে খবর দেয়।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নিয়ামুল বলেন, ‘এটা সখীপুর থানা-এলাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশেরা এ এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের পকেটে ইয়াবা দিয়ে টাকা আদায় করে হয়রানি করে আসছিল।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বুধবার একই কায়দায় এএসআই রিয়াজুল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে মির্জাপুর উপজেলার টান পলাশতলী গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে আনোয়ারের নিকট থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির রাত সোয়া ১০ টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সোর্সসহ আটক তিন পুলিশ সদস্যকে মির্জাপুরের বাঁশতৈল ফাঁড়িতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।