ইয়াবার ‘গজব’ থেকে মুক্ত হতে সহযোগিতা চাইলেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি মাত্র কলঙ্ক, সেটা হচ্ছে ইয়াবা। এই ইয়াবার কারণে এত বদনাম।’
কক্সবাজারের টেকনাফে গতকাল শনিবার দুপুরে এক ‘মাহফিল ও শুকরিয়া সভা’য় এ কথা বলেন আবদুর রহমান। ‘উখিয়া ও টেকনাফে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায়’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে টেকনাফ পৌরসভা। এখানকার পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম হলেন আবদুর রহমানের চাচা। সভায় সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ আল-জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মাওলানা মুফতি কেফায়েত উল্লাহ শফিক।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সর্বশেষ করা ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় জেলার ১ হাজার ১৫১ জন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা ৭৩ প্রভাবশালী ইয়াবা কারবারির (গডফাদার) তালিকায় আবদুর রহমানের নাম রয়েছে। পাশাপাশি এই তালিকায় টেকনাফের সাবেক ও বর্তমান আরও ২২ জনপ্রতিনিধির নাম আছে। গতকালের শুকরিয়া সভায় আবদুর রহমানের সঙ্গে মঞ্চে তাঁদের চারজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন, বাহারছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন, আবদুর রহমানের ভাই ও টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, আবদুর রহমানসহ ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকাভুক্ত জনপ্রতিনিধিরা পুলিশের খাতায় পলাতক হলেও শুকরিয়া সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। যদিও টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন...