ইবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাধারণ সম্পাদক আহত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: তৌহিদী হাসান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিসুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকেন্দ্র ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

গত ১৪ জুলাই কেন্দ্র থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুটি পদের বিপরীতে নাম ঘোষণা করে কমিটি করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় রবিউল ইসলামকে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাকিবুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর কিছুদিন পর রাকিবুল ইসলামের একটি মুঠোফোন অডিও ফাঁস হয়। এতে অভিযোগ ওঠে, কমিটিতে নাম আনতে তাঁদের অন্তত ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই অডিও ফাঁসের পর পদবঞ্চিত একটি বড় অংশের নেতা-কর্মীরা এই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই ছয় মাসের বিভিন্ন সময়ে অন্তত চারবার ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে পদবঞ্চিতরা তাঁদের বিতাড়িত করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: তৌহিদী হাসান

আজ বেলা একটার দিকে পঞ্চমবারের মতো সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কিছু নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢুকতে যান। এ সময় পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিসুর রহমান ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক এলাকায় তাঁদের থামাতে যান। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশ গিয়েও সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।

পরে প্রক্টর আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুলের মাথা ফেটে গেছে। রাকিবুলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: তৌহিদী হাসান

এরপর পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়া–ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন। পরে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ক্যাম্পাস থেকে বেলা দুইটার পর কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন আর কোনো মারামারি হচ্ছে না।