রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদককে আজ মঙ্গলবার পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাঁর গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৮)। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের হেতেমখা এলাকায়। তিনি ওয়াসার পাম্প চালক ছিলেন।
আসলাম হোসেনের পরিবারের লোকজন জানান, জমিজমা নিয়ে একটি বিরোধ মীমাংসার জন্য আসলামকে তাঁর খালাতো ভাই জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন যুবক বিকেলের দিকে মোটরসাইকেলে করে নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় নিয়ে যান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে খালাতো ভাই জাহিদ তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি চিকিৎসকদের জানান, ‘আসলামের স্ট্রোক হয়েছে।’ চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।
তবে নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, তার খালাতো ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
হাসপাতালে আসলামের লাশ দেখতে যান রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি বলেন, তিনি আসলামের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখেননি। তবে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আসলামের বোন রুনা খাতুন (৩৫) হাসপাতালে আহাজারি করতে করতে বলেন, তার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সে দুপুরে খায়নি। এই অবস্থায় তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়।